স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কান্দিপাড়ায় তাহফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত মাদ্রাসা দখলের অপচেষ্টা ও পূর্বপরিকল্পিত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে মানববন্ধন শুরু হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা ও মোনাজের মধ্য দিয়ে মানববন্ধন শেষ হয়।
মানববন্ধন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে মুফতি মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন হযরক মুহাম্মদ (সাঃ) শেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী। উঁনার পর পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবেনা। অপরদিকে আমাদের প্রিয় নবীও বলেছেন যে আমার পর আর কোন নবী রাসুল দুনিয়াতে আসবেনা। কোন মুসলমান আল্লাহর কুরআন অস্বীকার করতে পারেনা পারবেও না।
যারা কুরআন অস্বীকার করবে তারা অবশ্যই কাফের ও অমুসলিম। সুতরাং কাদিয়ানীরা যেহেতু আল্লাহর কুরআন অস্বীকার করেন ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে শেষ নবী হিসেবে মানেন না তারা মুসলিম হতে পারেনা। সুতরাং কাদিয়ানীরা কাফের এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই সরকারের কাছে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা দাবী জানাচ্ছে অতিদ্রুত কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হউক, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মভীরু মুসলমান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আপনি একজন মুসলমান হিসেবে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা আপনার ঈমানি দায়িত্ব। মুফতি সাজিদুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে আগামী বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি উপজেলায় কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ও অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার কর্মসূচী ঘোষণা করে বিশেষ মোনাজাত করে মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনটি সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় সকাল ১১টায় জেলা শহরের মেড্ডা থেকে কাউতলী ছাড়িয়ে যায় বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র। জেলার সকল স্থান থেকে প্রায় তিন শতাধিক মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও তৌহিদী মুসলিম জনতা অংশ নিয়েছেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের কয়েকটি টিম বসানো হয়েছে। পোশাকদারি পুলিশ প্রশাসনের সাথে সাদা পোশাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্ব জোরদার করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিনী, খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতী মাজহারুল হক কাসেমী, মাওলানা আব্দুল বাছির, মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান সহ জেলার শীর্ষ আলেম ওলামগণ। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও সাধারন তৌহিদী মুসলমানদের হাতে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অংশ নেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply